লকডাউনের মধ‍্যে বাঁকুড়ায় ধরা পড়লো ময়ূর , উদ্ধার করলো বনদপ্তর

30th April 2020 বাঁকুড়া
লকডাউনের মধ‍্যে বাঁকুড়ায় ধরা পড়লো ময়ূর , উদ্ধার করলো বনদপ্তর


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : দেশ জুড়ে লক ডাউনের মধ্যেই বেশ কয়েকটি চিতল হরিণ উদ্ধারের পর এবার ময়ুর উদ্ধার হলো বাঁকুড়ায়। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পাত্রসায়রের পড়াশিয়া গ্রাম থেকে আদিবাসী শিকারীদের কাছ থেকে ঐ ময়ুরটি বনদপ্তরের কর্মী-আধিকারিকরা উদ্ধার করেন।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বছরের এই সময়ে আদিবাসীরা শিকার উৎসবে অংশগ্রহণ করেন। সরকারীভাবে এই শিকার উৎসব নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারী থাকলেও অনেকেই তা মানেননা বলে অভিযোগ। এদিন ঐ এলাকার বেশ কিছু মানুষ শিকার উৎসবে বেরিয়ে স্থানীয় জঙ্গল থেকে ঐ ময়ুরটিকে ধরেন বলে খবর। 

  ময়ুর উদ্ধারের খবরের সত্যতা স্বীকার করে পাত্রসায়রের বনাধিকারিক শিবপ্রসাদ সিনহা বলেন, শিকার উৎসব উপলক্ষ্যে বেলিয়াতোড়, সোনামুখী, পাত্রসায়র, রাধানগর বনাঞ্চলের তরফে জঙ্গল জুড়ে টহলদারি চলছিল। লক ডাউনের কারণে ও বনকর্মীদের উপস্থিতি লক্ষ্য করে এবার শিকার উৎসবে আদিবাসী সমাজের উপস্থিতি কম ছিল। এর মাঝেই স্থানীয় কয়েক জন আদিবাসী যুবক একটি ময়ুর ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে আমরা সেখানে পৌঁছে সম্পূর্ণ অক্ষত অবস্থায় ময়ুরটি উদ্ধার করি। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া ঐ ময়ুরটি পাত্রসায়র রেঞ্জ অফিসে রাখা আছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পর পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। পরে চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে ময়ুরটিকে জঙ্গলে ফের ছেড়ে দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।